কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর থেকেই পুলিশি সংস্কারের দাবি উঠেছে আমেরিকা জুড়ে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনের দফতর, মিনিয়াপোলিস শহরের পুলিশ বিভাগ ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার সিটি কাউন্সিল। দেশের অন্যান্য যে শহরে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে মিছিল হচ্ছে, সেখানেও স্লোগান উঠেছে পুলিশে বরাদ্দ কমানোর। এই পরিস্থিতিতে নিজের দেশের পুলিশ বিভাগের পাশে দাঁড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই পুলিশে বরাদ্দ ছাঁটাই করা হবে না।
গত কাল হোয়াইট হাউসে বিভিন্ন প্রদেশের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘আর কোনও পুলিশ বিভাগ ভাঙা হবে না, কমানো হচ্ছে না পুলিশে বরাদ্দও।’’ তা হলে দিনের পর দিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠছে? ট্রাম্পের জবাব, ‘‘আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে পুলিশ বিভাগে যাতে আদৌ কোনও খারাপ অফিসার না থাকেন। এঁদের মধ্যে ৯৯ শতাংশ অফিসারই ভাল এবং তাঁরা দারুণ কাজ করছেন।’’
এ দিকে, ফিলাডেলফিয়ায় এক কলেজছাত্রকে মারধরে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের সমর্থনে পথে নেমেছেন তাঁর সহকর্মীরা। বর্ণবিদ্বেষ-বিরোধী একটি মিছিলে ওই ছাত্রকে পিছন থেকে ধাতব লাঠির বাড়ি মেরেছিলেন জোসেফ বোলোগনা নামে ওই ইনস্পেক্টর। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। কিন্তু দোষ প্রমাণিত না-হওয়া পর্যন্ত জোসেফ দোষী নন বলে সওয়াল করেছেন তাঁর সহকর্মীরা।
মিনিয়াপোলিসের অভিযুক্ত অফিসার ডেরেক শভিনের জামিনের জন্য ১০ লক্ষ ডলার ধার্য করেছেন বিচারক। কাল মিনেসোটার কারাগার থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দেন শভিন। বিচারক জানিয়েছেন, আদালতের দেওয়া শর্ত না-মানলে আরও ২৫ হাজার ডলার দিতে হবে শভিনকে।
মার্কিন মুলুক জুড়ে চলা বর্ণবৈষম্য-বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেনের কিছু এলাকাতেও এই ধরনের মিছিল-বিক্ষোভ হয়েছে। বরিস তাঁর এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘‘বর্ণবৈষম্য রুখতে ব্রিটেনের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ করলেও এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি।’’
অনলাইন শপিং সংস্থা অ্যামাজনের কর্ণধার জেফ বেজ়োস জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলায় নানা অদ্ভূত প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের ঘৃণা প্রকাশ্যে আসা উচিত।’’ সূত্র: আনন্দবাজার