২৫শে মার্চ লকডাউনে যাওয়ার সময় নিউজিল্যান্ডে চার ধাপের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা্ নেয়া হয় এবং চতুর্থ ধাপের লকডাউন জারি করা হয়, যেই ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পাশাপাশি অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় এবং মানুষকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়।
এখন ৫০ দিনের কড়া লকডাউনের পর তারা প্রথম ধাপে ফিরে গেছে এবং সেখানে মানুষের জীবনও প্রায় স্বাভাবিকের পর্যায়ে ফিরে গেছে।
যদিও এখনও বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধই রয়েছে, কিন্তু নতুন নিয়মে নাগরিকদের কোনো ধরণের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে না এবং জনসমাগমের ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই।
সরকারের এখন লক্ষ্য হলো অভ্যন্তরীন পর্যটনকে উৎসাহিত করা এবং অর্থনীতির পুনর্গঠন।
নিউজিল্যান্ডের লকডাউন তুলে নেয়ার পর প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় সেখানকার সাধারণ মানুষের উদযাপনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আলোকচিত্রীরা।
নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের ক্যামব্রিজ শহরে বিচ ভলিবল খেলতে জড়ো হয় কয়েকজন বন্ধু।
টরাঙ্গা শহরের একটি কিউই ফল এবং অ্যাভোকাডোর প্যাকেটজাত করার কারখানায় লকডাউনের পর কাজে ফেরাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।
বড় শহর অকল্যান্ডের নির্মাণ শ্রমিকরাও ফিরেছেন কাজে।
অকল্যান্ডের ফুলার্স ফেরির বাইরে কাজের ফাঁকে কফি বিরতিতে সহকর্মীরা।
তিনমাস বন্ধ থাকার পর সামনের সপ্তাহে আবার মাঠে ফিরছে রাগবি। তাই অনুশীলনে খেলোয়াড়রা।
নিউজিল্যান্ডের পাঁচটি রাগবি ক্লাবকে নিয়ে শুরু হতে যাওয়া দশ সপ্তাহের আসন্ন টুর্নামেন্টটি হবে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে প্রথম বড় খেলাধুলার ইভেন্ট।
৯ই জুন থেকে গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর বাস ও ফেরিতে করে যাতায়াত শুরু হয়েছে।
মানুষের চলাচলের হিসেব রাখতে নিউজিল্যান্ডারদের কাজকর্ম এবং চলাচল ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করার অনুরোধ করেছে সরকার।
ঘোরাঘুরির ওপর থেকেও উঠে গেছে নিষেধাজ্ঞা। সূত্র: বিবিসি বাংলা