মোট ভোট পড়েছে ১৯২টি, তার মধ্যে ভারত পেয়েছে ১৮৪। এভাবেই বিপুল ভোটে জিতে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হলো ভারত। এ ছাড়া মেক্সিকো, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে জিতেছে। হেরেছে কানাডা।
অবশ্য এর আগেই এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা থেকে ভারত মতৈক্যের ভিত্তিতে প্রার্থী হয়েছিল। চীন ও পাকিস্তান সহ ৫৫টি দেশ ভারতের প্রার্থীপদ সমর্থন করে। নিয়মানুযায়ী তার পরে ভোটাভুটির সময় মোট ভোটের দুই তৃতীয়াংশ পেতে হয়। ফলে অন্তত ১২৮টি ভোট পেতে হতো, ভারত অবশ্য তার থেকে অনেক বেশি ভোট পেয়েছে।
এরপরই জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে. ২০২১-২২ এর জন্য ভারত সদস্য দেশগুলির বিপুল সমর্থন পেয়ে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হলো। আর দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র জানাচ্ছে, চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে ভারতের এই বিপুল জয় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে ভারতের মনোবল বাড়বে।
নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য হলো অ্যামেরিকা, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও চীন। এ ছাড়া এখন অস্থায়ী সদস্য হিসাবে আছে এস্তোনিয়া, ভিয়েতনাম, তিউনিশিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট সহ ছয়টি দেশ। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ভারত সহ নবনির্বাচিত দেশগুলি সেখানে যুক্ত হবে।
করোনাকালে এই নির্বাচন হয়েছে। ফলে তার চেহারাটাই ছিল আলাদা। সাধারণত এই ধরনের নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, জাতি সংঘের কর্মী মিলিয়ে সাধারণ সভার বিশাল হল গমগম করে। এ বার ছিল ব্যতিক্রম। দেশগুলিকে ভোট দেওয়ার জন্য আলাদা সময় দেওয়া হয়েছিল। সামাজিক দূরত্বের নীতি মেনে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
সকাল নয়টা থেকে ভোট শুরু হয়। ভারতের সময় ছিল সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটা।
ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ”২০২২ হলো আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর। সেই সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য থাকবে ভারত। আমাদের দর্শন হলো, পুরো বিশ্ব আমাদের পরিবার। সেই দর্শন নিয়ে চলবে ভারত।” সূত্র: ডয়েচে ভেলে