1. junayed@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  2. boe01@bijoy.tv : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  3. rafi@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  4. rubel@bijoy.tv : support_admin :
করোনা ভাইরাস: কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন শতবর্ষী বৃদ্ধ
ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাস: কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন শতবর্ষী বৃদ্ধ

বিজয় টিভি নিউজ
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

যেভাবে তিনি সেরে উঠেছেন, তা সত্যি অবিশ্বাস্য – বলছেন তার চিকিৎসা করা ডাক্তারদের একজন।

আবা তিলাহুন ওল্দেমাইকেলের পরিবার বলেন তার বয়স ১১৪ – তা যদি ঠিক হয় তাহলে তিনিই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি।

কিন্তু সেটা নিশ্চিত করার মতো কোন ‘বার্থ সার্টিফিকেট’ নেই।

মনে করা হয়, যাদের বয়স ৮০ বা তার বেশি তাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হলে মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

শতবর্ষী এই বৃদ্ধ এখন বাড়ি ফিরে গেছেন। এখন তার দেখাশোনা করছেন তার নাতি।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদিস আবাবার যে মহল্লায় আবা তিলাহুন থাকেন, সেখানে এক করোনাভাইরাস টেস্টিং কর্মসূচি চালানোর সময় তার সংক্রমণ ধরা পড়ে।

তার দেহে কোন উপসর্গ দেখা দেবার আগেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, বিবিসিকে বলছিলেন ডাক্তার হিলুফ আবাতে।

এর ফলে ডাক্তারদের দলটি একেবারে শুরু থেকেই এই বৃদ্ধকে নজরে রাখা এবং চিকিৎসা করার সুযোগ পান।

ইয়েকা কোতেবে হাসপাতালে গুরুতর করোনাভাইরাস রোগীদের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় আবা তিলাহুনকে।

চার দিনের মধ্যেই তার তার শরীর ভাইরাসের দখলে চলে যায়। তার অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে, এবং তাকে অক্সিজেন দেয়া শুরু হয়, বলেন ডাক্তার হিলুফ।

সব মিলিয়ে আবা তিলাহুন ১৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন। এর মধ্যে এক সপ্তাহ ধরেই তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়।

ইথিওপিয়ায় করোনাভাইরাস ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দেশটিতে ৫ হাজারেরও বেশি লোক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং মারা গেছে ৮১ জন।

উত্তাল সময়

ইয়েকা কোতেবে হাসপাতাল অবশ্য নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে তাদের রোগীর বয়স আসলেই ১১৪ কিনা। কিন্তু চিকিৎসক দল বলছে তার বয়স যে ১০০-র ওপর তা নিশ্চিত। তাদের অনুমান তার বয়স ১০৯।

তরুণ বয়সে আবা তিলাহুন দক্ষিণ সুদান থেকে আদ্দিস আবাবায় আসেন। দেশটির উত্তাল অবস্থার মধ্যে তার তরুণ জীবন কেটেছে।

তিনি ১৯৩৫ থেকে ১৯৪১এর মধ্যে ইতালির দখলদারিত্ব প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি ১৯৭৪ সালে দেখেছেন সম্রাট হাইলা সেলাসির উৎখাত, ১৯৯১এ মার্কসবাদী ডার্গ প্রশাসনের পতন এবং এখন এসে কোভিড-১৯ থেকে তার বেঁচে ফিরে আসা।

বহু বছর তিনি ইথিওপিয়ার সনাতনপন্থী গির্জায় যাজকের সাদামাটা জীবন কাটিয়েছেন।

তবে অল্প বয়সে তিনি ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করেছেন। তিনি বাসাবাড়ি রং করা বা ছোটখাট টুকিটাকি কাজ করেছেন, বিবিসিকে বলেন তার ২৪ বছরের নাতি বিনিয়াম লুলসেগেড তিলাহুন।

মি. বিনিয়াম বলছেন, তার দাদা সেরে উঠছেন এবং বয়সের তুলনায় তার স্বাস্থ্য ভাল আছে। তবে ভাইরাস সংক্রমণের পর তার গলাটা দুর্বল হয়ে গেছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইথিওপিয়া এপ্রিল মাসে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। দেশটিতে খেলার মাঠ, এবং স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বড় জমায়েত এবং খেলাধুলার ইভেন্ট নিষিদ্ধ হয়ে গেছে এবং গণপরিবহনেও মানুষের সংখ্যা হ্রাস করা হয়েছে। তবে ব্যবসা বাণিজ্য, দোকানপাট খোলা আছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বাবা হারালেন রুনা খান

সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম

আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বসত্ব সংরক্ষিত ২০২৫ বিজয় টিভি || All Rights Reserved.