বাসচালক যাত্রীদের অনুরোধ করেছিলেন, মাস্ক পরার জন্য৷ তিনি জানিয়েছিলেন, সবাই মাস্ক না পরলে বাস থেকে নেমে যেতে হবে৷ রাগে যাত্রীরা সবাই মিলে পিটিয়ে মেরেই ফেলল ওই চালককে৷ নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রান্সের বেয়োঁ শহরে৷ যাত্রীদের গণপিটুনিতে ব্রেন ডেথ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই বাসচালকের৷ ওই বাসচালককে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ কাসটেক্স৷
৫৯ বছর বয়সি ফিলিপ শুক্রবার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ ঘটনার জেরে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে ফ্রান্সে৷ রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি বহু মানুষ কুর্নিশ জানাচ্ছেন ওই বাস চালকের সচেতনতাকে৷ ফিলিপের মেয়ের কথায়, ‘বাবা ব্রেন ডেথ হওয়ার পরে লাইফ সাপোর্টে ছিল৷ আমরাই ডাক্তারদের বললাম, ব্রেন ডেথ মানে সব শেষ৷ লাইফ সাপোর্ট দিয়ে আর কী হবে৷ খুলে দিন৷ ডাক্তাররাও সেই পরামর্শই দিলেন৷’
সংবাদ সংস্থা AFP-কে পুলিশ জানিয়েছে, খুনের চেষ্টার অভিযোগে দুজনকে এখনও গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তারা ওই বাসেরই যাত্রী ছিল৷ ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘প্রজাতন্ত্র তাঁকে মনে রাখবে একজন অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে৷ আমরা ভুলব না৷ অপরাধীদের শাস্তি দেবে আইন৷ অত্যন্ত ভীতুদের হামলা এটা৷’
ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বেয়োঁ শহরের বাস চালকদের সঙ্গে দেখা করেছেন৷ তাঁদের যাবতীয় নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷
যে বাসস্টপে ওই ঘটনাটি ঘটেছে, সেই বাসস্টপ থেকে আগামী বুধবার নীরব প্রতিবাদে মার্চ করবেন মৃত বাসচালকের পরিবারের সদস্যরা। নিউজ ১৮