করোনা সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে জার্মানির প্রাথমিক সাফল্য ম্লান করে দিচ্ছে বেড়ে চলা সংক্রমণের হার৷ আর বিচ্ছিন্ন কিছু জায়গায় নয়, গোটা দেশ জুড়েই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা৷ তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার বদলে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ গণ সংক্রমণের কিছু সাম্প্রতিক ঘটনাও প্রশাসনের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ বিশেষ করে দক্ষিণের শোয়েবিশ গ্যমুন্ড শহরে এক শোকসভায় অনেক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা এলাকায় সংকট দেখা দিয়েছে৷ এমনকি কয়েকটি শিশুও আক্রান্ত হয়েছে৷
বিশেষ করে গ্রীষ্মের ছুটির মরসুমে অনেক মানুষ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বা অঞ্চলে বেড়াতে গিয়ে ঘরে ফেরার সময়ে করোনাভাইরাস নিয়ে আসছেন, এমন দৃষ্টান্ত বেড়েই চলেছে৷ তাই এই সব মানুষের জন্য বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফেডারেল ও রাজ্য স্তরের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা৷ কিন্তু গত সপ্তাহান্ত থেকে বিমানবন্দরে সেই পরীক্ষা চালু হবার পর সেটি বাধ্যতামূলক না হওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল৷
সোমবার ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান ঘোষণা করেন, যে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আগত মানুষের জন্য বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে৷ এই পদক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ভিত্তি স্থির করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে জার্মানি মোট ১৩০টি দেশকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ তবে স্পান জানান, দৈনিক ভিত্তিতে সেই তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
বিমানবন্দর ছাড়াও কিছু রেল স্টেশন ও সড়ক সীমান্তে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার সোমবার ঘোষণা করেন, যে মিউনিখ ও নুরেমবার্গ রেল স্টেশন এবং সীমান্তের তিনটি জায়গায় করোনা পরীক্ষা করা হবে৷ বাভেরিয়া আগেই মরসুমি শ্রমিকদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিল৷ সূত্র: ডয়েচে ভেলে