সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ তাঁর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে ২০১৫ সালে সিংহাসনের উত্তরাধিকার ঘোষণা করেন। এরপর রক্ষণশীল দেশটিতে বিন সালমানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সুনাম কুড়ায় তুলে নেন নারীদের গাড়ি চালানো নিষেধাজ্ঞা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্টেডিয়ামে গিয়ে ফুটবল খেলা দেখার অনুমতি পেয়েছেন। এ ছাড়া উড়োজাহাজের সহকারী পাইলট হওয়ার এবং ব্যাংকে কাজ করারও অনুমতি পেয়েছেন তাঁরা।
তবে কিছু ঘটনায় অন্ধকারের দিকে আলোকপাত হন বিন সালমান। তার মধ্যে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি গণমাধ্যমে বেশি আলোচিত।
মৃত্যুদ-ের হার বৃদ্ধি
মানবাধিকার সংগঠন রিপ্রিভ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটিতে মৃত্যুদ-ের হার অনেকখানি বেড়ে গেছে। গত মার্চে রিপ্রিভ জানায়, বিন সালমান যুবরাজ হওয়ার পর আট মাসের মধ্যে ১৩৩ জনের মৃত্যুদ- কার্যকর করে সৌদি আরব।
উপসাগরীয় সংকট
২০১৭ সালের জুন মাসে সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দেশটির ওপর কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করে। এই পদক্ষেপের পেছনের ব্যক্তিটিও বিন সালমান বলে মনে করা হয়।
ইয়েমেন যুদ্ধ
হুতি বিদ্রোহীদের দমনে ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে অভিযান পরিচালনা করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। এরপর এ পর্যন্ত এই যুদ্ধে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ভিক্ষে প্রাণ গেছে আরও অনেক মানুষের। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো ইয়েমেনি। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, সামরিক জোট নির্বিচারে বেসামরিক লোকজন এবং হাসপাতাল, বিদ্যালয় ও অন্য অবকাঠামোর ওপর বোমাবর্ষণ করছে। কিন্তু গত এপ্রিলে টাইম সাময়িকীকে বিন সালমান বলেন, সামরিক অভিযানে ভুল হতেই পারে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
২০১৭ সালের সৌদি আরব সফরে যান লেবাননের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। কিন্তু রিয়াদে পৌঁছার এক দিন পর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে পরে জানায়, সৌদি বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ বিন সালমান জরুরি সাক্ষাতের কথা বলে হারিরিকে রিয়াদে ডেকে নিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি