নৃশংসতার নজির সৃষ্টিতে জুড়ি নেই উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের। নিজ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চাচাকে কুকুর লেলিয়ে খুন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার দাপটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই ভয়াবহ পরিণাম। স্বৈরাচারী এ নেতার মুদ্রাদোষ ঢুকে গেছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে। সৌদি রাজপরিবার ও রাজতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করার কারণে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করেছেন যুবরাজ। শনিবার রাষ্ট্রীয় স্বীকারোক্তির পর বিষয়টি এখন আরও স্পষ্ট। আর এ কারণেই বিশ্বগণমাধ্যমে তার মধ্যপ্রাচ্যের ‘কিম জং উন’ উপাধিটি আরও পাকাপোক্ত হয়ে উঠছে।
২০১৭ সালের জুন মাসে ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর থেকে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন বিন সালমান। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে একে একে রাজপরিবারের বিদ্রোহী প্রিন্স, মন্ত্রী ও ধনকুবেরদের কারাগারে ভরে দেন। চরম মুসলিমবিদ্বেষী ট্রাম্পকে ‘মুসলমানদের সত্যিকারের বন্ধু’ মনে করেন বিন সালমান। সঙ্গ দেন ইসরাইলকে।
এসব ঘটনায় সৌদির ভেতরেই তার বহু শত্রু তৈরি হয়েছে। ২১ এপ্রিল রিয়াদে রাজপ্রাসাদে এক ‘অভ্যুত্থানচেষ্টায়’ গুলিবিদ্ধ হয়ে বিন সালমান মারা যান বলে গুঞ্জন রটে। প্রায় দেড় মাস পর তিনি জনসম্মুখে আসেন। তবে অভ্যুত্থানচেষ্টার বিষয়টি রহস্যই থেকে যায়। গত বছরের ৬ নভেম্বর যুবরাজকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘কিম জং উন’ অ্যাখ্যা দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। আর খাসোগি হত্যার মাধ্যমে তা গন মাধ্যমে পাকাপোক্ত হয়।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি