দীর্ঘ আলোচনার পর জলবায়ু চুক্তি বাস্থবায়নের নীতিমালা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এবারের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার একদিন পর শনিবার এ ইস্যুতে মতৈক্যে পৌঁছাতে সমর্থ হয় সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা।
এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ২০১৫ সালে প্যারিসে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্থবায়নের নীতিমালা তৈরি করা, যাকে ‘রুলবুক’ বলছেন আলোচকরা। কিন্তু শুক্রবার আলোচনার শেষ দিনে এসেও আলোচকরা নিশ্চিত হতে পারেননি যে, একটি রুলবুক পাওয়া যাবে। তবে শনিবার এ নিয়ে অনিশ্চয়তার আপাত অবসান হয়। তবে সমালোচকরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার বিপজ্জনক প্রভাব প্রতিরোধে এটি যথেষ্ট উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়।
স্বাগতিক দেশ পোল্যান্ডের প্রতিনিধি মাইকেল কুর্তিকা বলেন, সুনির্দিষ্ট ও প্রযুক্তিগত চুক্তি চুক্তি খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। এই প্যাকেজের মাধ্যমে আপনারা সম্মিলিতভাবে হাজারটি ছোট ছোট পা সামনে এগিয়েছেন। আপনারা গর্ববোধ করতে পারেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ধকল থেকে পালিয়ে আসতে এটিই আমাদের জন্য শেষ সেরা সুযোগ। এই সুযোগ না নেওয়াটা শুধু অনৈতিক হবে না, বরং এটি হবে আত্মঘাতী।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত খুব একটা কিছু করতে পারছি না। এক্ষেত্রে আমাদের কাজের গতিও খুব একটা দ্রুত নয়।’
পোল্যান্ডের কাতোভিতাসায় জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছে বিশ্বের ১৮৩টি দেশ। ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস’ বা কপ নামে পরিচিত জাতিসংঘের এই বার্ষিক সম্মেলনের ২৪তম আয়োজন এটি। প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী সম্মেলন ১৪ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল।
প্যারিস চুক্তিতে বিশ্বের তাপমাত্রা শিল্প বিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ে যা ছিল, তার চেয়ে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়তে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্ভব হলে তা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০২১-২০২৫ সাল মেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সংস্থাটি ১০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল দেবে। এই অর্থ জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্থবায়ন ও পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কল্যাণে সমানভাবে ব্যয় করা হবে।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি