মালয়েশিয়ায় করোনা প্রতিরোধে চলছে লাগাতার লকডাউন। সরকারের কড়া বিধি নিষেধ। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া। জরুরী দরকার পাসপোর্ট।
এই সময় ঝুকি নিয়ে ও পাসপোর্ট বিতরণ অব্যহত রাখতে গিয়ে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রায় ১২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হন। এরপরও মাত্র ৩ মাসেই করোনার ঝুকিতে ছটির দিন সহ দিনরাত অবিরাম কাজ করে ১ লক্ষ ১০ হাজার পাসপোর্টের আবেদন গ্রহন করে পাসপোর্ট তৈরী করে সেগুলো প্রবাসীদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যা নতুন করে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক পাসপোর্ট যথাশ্রীঘ্রই ঢাকা থেকে এনে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রবাসীদের মাঝে বিতরণ করার ব্যাবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে কোন প্রকার দালালের প্ররোচনায় না পড়ে প্রতারিত না হয়ে দূতাবাসের ফেইসবুক পেইজের সাথে সংযুক্ত হয়ে যথাসময়ে পাসপোর্ট গ্রহনের অনুরোধ করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার জনাব গোলাম সারোয়ার বলেন, পাসপোর্ট দ্রুত বিতরণের জন্য ইতিমধ্যে লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে এবং আরো লোকবল নিয়োগ করা হবে। তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়া করোনার ভ্যাকসিন এসেছে অভিবাসী কর্মীদের ও যেন ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সেজন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।