দীর্ঘ ৫২ দিন পর তাকে হাঁটতে দেখা গেল। সঙ্গী হুইল চেয়ার ছেড়ে এমন মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটে সামনে এলেন, যখন নীলবাড়ির লড়াইয়ে তিনিই জয়ী। শুধু জয় নয়, পাক্কা ডাবল সেঞ্চুরি করে আগামী ৫ বছর বাংলা শাসন করবে বাংলার নিজের মেয়ে।
জয়ের পর কালীঘাটে বাড়ির সামনে মাইক হাতে মমতা, সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে করোনার সুরক্ষাবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিজয় মিছিল না করারও আহ্বান জানান। যদিও নন্দীগ্রামে নিজের আসনেই নিজ দলের সাবেক নেতা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
আট দফার এ নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির বাঘা বাঘা নেতারা শ’খানেক সভা ও রোড-শো করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ দখলের লড়াইয়ে কুড়ি খানেক জনসভা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া অমিত শাহ, জে পি নড্ডা, যোগী আদিত্যনাথ ও কৈলাশ বিজয়বর্গীর মতো নেতারও পড়েছিলেন ঘাপটি মেরে।
এত কিছুর পরেও আঞ্চলিক দল তৃণমূলের কাছে ধরাশয়ী হলো ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রব তোলা বিজেপি। যদিও বৃহৎ এই গণতান্ত্রিক দেশের চিরাচরিত সৌজন্যতা মেনে পরাজয়ের গ্লানি বরণ করে বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানাতে ভুল করেননি মোদি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ২ প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোট হয় ২৯২টিতে। এরমধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ২১৪টি, বিজেপি ৭৬টি আর বাকিদের ঝুলিতে মাত্র ২টি আসন।