ট্রফি ক্যাবিনেটে আছে বিশ্বকাপ এবং কোপা আমেরিকার শিরোপা। আন্তর্জাতিক শিরোপা দুটো ঘরে থাকা অবস্থায় এবার আর্জেন্টিনার সামনে ফুটবলের আরেক প্রেস্টিজিয়াস টুর্নামেন্টের চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপের আগে অলিম্পিকের ফুটবলকেই বিবেচনা করা হতো ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর হিসেবে। ঐতিহ্য বিবেচনায় তাই অলিম্পিকের পদকটাও বড় মূল্যই বহন করে।
আর্জেন্টিনা এসেছিল সেই পদকের স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু যাত্রার শুরুটা খুব একটা সুখকর হলো না তাদের জন্য। মরক্কোর বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচেই ২-১ গোলে হেরে বসে আলবিসেলেস্তেরা। ইরাকের বিপক্ষে ৩-১ গোলের দাপুটে জয় তুলে নিলেও এখনই নিশ্চিত হয়নি আর্জেন্টিনার কোয়ার্টার ফাইনাল।
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ইউক্রেনের বিপক্ষে মাঠে নামছে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর আর্জেন্টিনা। ইউরোপিয়ান দেশটির বিপক্ষে জয় পেলেই শীর্ষ আটের টিকিট নিশ্চিত হবে ওদের। একই সঙ্গে হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। ড্র করলেও থাকবে সম্ভাবনা। তবে সে ক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকে। যদিও সেই ঝুঁকি নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাশ্চেরানো পাচ্ছেন না দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার লুকাস বেল্ট্রানকে। ফিওরেন্তিনায় খেলা এই স্ট্রাইকার আগের ম্যাচে লোয়ার ব্যাকে অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। তার বদলে আজ থাকবেন লুসিয়ানো গুন্দো। গেল ম্যাচে বদলি নেমেই যিনি পেয়েছিলেন গোলের দেখা।
একাদশে আরও কিছু পরিবর্তন আসছে। সেটাও একপ্রকার নিশ্চিত। গুইলিয়ানো সিমিওনে দলে আসছেন সেটাও প্রায় নিশ্চিত। বিশ্বকাপজয়ী তারকা হুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে মাঠে নামবেন দুজন। আরেকটা পরিবর্তন আসতে পারে রাইটব্যাক পজিশনে। হোয়াকিন গার্সিয়ার বদলে আসতে পারেন গঞ্জালো লুজান।
মাঝমাঠে ইকি ফার্নান্দেজ আর ক্রিশ্চিয়ান মেদিনার সঙ্গে জুটি বাঁধবেন ডিয়েগো সিমিওনের সন্তান গুইলিয়ানো সিমিওনে। থিয়াগো আলমাদাকে আজ দেখা যাবে সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে। নাম্বার টেন রোলের মহা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা তার জন্য বরাদ্দ।
গোলরক্ষক: জিরোনিমা রুল্লি। ডিফেডার: গঞ্জালো লুজান, মার্কো ডি সেজার, নিকোলাস ওতামেন্ডি, হুলিও সোলার। মিডফিল্ডার: গুইলিয়ানো সিমিওনে, ইকি ফার্নান্দেজ, ক্রিশ্চিয়ান মেদিনা, থিয়াগো আলমাদা। ফরোয়ার্ড: হুলিয়ান আলভারেজ, লুসিয়ানো গুন্দো।