বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের চেহারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখানো হয়েছে খসড়া নকশা। আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে তিন মাসের মধ্যে। পুরো স্টেডিয়ামেই ধাপে ধাপে হবে সংস্কার। বদলে যাবে অ্যাথলেটিক্স টার্ফ, মাঠে স্থাপন করা হবে নতুন ঘাস। তবে আপাতত স্টেডিয়াম অঙ্গন থেকে দোকান সরানোর পরিকল্পনা নেই ক্রীড়া মন্ত্রাণালয়ের।
যান্ত্রিক শহর ঢাকার ব্যস্ততম মতিঝিলে সমৃদ্ধ্ব ঐতিহ্য নিয়ে মাথা উচু করে আছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ঢাকা স্টেডিয়ামকে জাতির পিতার নামে নামকরণ করা হয় ১৯৯৮ সালে।
এই স্টেডিয়াম নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই খোদ প্রধানমন্ত্রীরও। তদারকি করছেন নিজেই একনেকে ৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনও দিয়েছেন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বুধবার খসড়া নকশা দেখিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
১৯৫৪ সাল থেকে স্টেডিয়ামটির রুপ বদলেছে পালাক্রমে। তিন দফা বড় ধরনের সংস্কারসহ বিভিন্ন সময়ে স্টেডিয়ামের পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুশ কোটি টাকা। আর এবারের সংস্কার বাজেট ভেঙেছে আগের সব রেকর্ড।
বিএনএসের ১৯টি খাতে করা হবে সংস্কার। আন্তর্জাতিক মানের করতে গ্যালারীর ছাউনিসহ পূর্ন করা হবে ফিফা এএফসির সকল চাহিদা। মূল মাঠেও নতুন ঘাসের পাশাপাশি স্থাপন করা হবে অটোমেটিম পানি দেয়ার ব্যবস্থা, উন্নত করা হবে পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা। বদলে যাচ্ছে এর অ্যাথলেটিক্স টার্ফও। অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের।
২০০৫ সালে ক্রিকেটকে মিরপুরে পাঠানোয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামই এখন ফুটবলের ঘরবাড়ি। ধাপে ধাপে সংস্কার হবে ঠিকই তারপরও জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচি, লিগ ও এএফসি কাপসহ গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিপাকে পড়তে হবে বাফুফেকে। তাই বিকল্প পরিকল্পনা হাটছে ফুটবল ফেডারেশন।
সংস্কার পুরো স্টেডিয়ামই পাবে নতুন রূপ। কিন্তু যুগের পর যুগ বানিজ্যিক এলাকায় পরিণত হওয়া স্টেডিয়াম পাড়া কি বদলাবে? যেখানে ব্যবসা নয়, পদচারনা থাকবে শুধুই ক্রীড়াবিদদের?
৬৫ বছরের সমৃদ্ধ্ব ইতিহাসে ক্রিকেট, ফুটবলের পাশাপাশি এশিয়া কাপ হকি, বক্সার মুহম্মদ আলীর প্রদর্শনী ম্যাচ, আর্চ্যারি, অ্যাথলেটিক্স আয়োজনের উদাহরণ আছে এই স্টেডিয়ামে।
লিওনেল মেসি ও জিনেদিন জিদানের মত তারকারাও পা রেখেছেন এখানে। পাশাপাশি জাতীয় দিবস আর রাষ্ট্রীয় আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।