ডিয়েগো ম্যারাডোনা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও অজানা। তার পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছিল। স্ত্রী ক্লদিয়া এবং মেয়ে দালমার অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও মামলা চলছে। ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত আট চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে সাতজন এ মামলায় অভিযুক্ত। তবে এ মামলা নিয়ে বিতর্কের কারণে গতকাল এই বিচারকাজ থেকে একজন গুরুত্বপূর্ণ বিচারক সরে দাঁড়িয়েছেন।
বিচারক হুলিয়েতা মাকিনটাচ মিনি সিরিজ বানাতে কয়েক মাসব্যাপী এই বিচারকাজ তিনি ক্যামেরায় ধারণ করিয়েছেন, এটা প্রকাশিত হওয়ার পর বিতর্ক শুরু হয়। মাকিনটাচের বিরুদ্ধে নৈতিকতা–সম্পর্কিত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও ওঠে। এমন অভিযোগ উঠার পর এবার তিনি সরে দাঁড়ালেন। এই বিচারপ্রক্রিয়া চলমান থাকবে, নাকি থামিয়ে পুনরায় শুরু করা হবে, সে বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক এবং নার্স মিলিয়ে আট জন রয়েছেন অভিযুক্তের তালিকায়। প্রাথমিক তদন্তের পর ২০২১ সালে ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল টিমকে অনুপযুক্ত বলা হয়। চিকিৎসার পদ্ধতি ঠিক ছিল না বলেও বলা হয়।
উল্লেখ্য, মাদক-সহ বিভিন্ন নেশার দ্রব্যে আসক্ত ছিলেন ম্যারাডোনা। অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। তদন্তে জানা যায়, সঠিক চিকিৎসা হলে আরো কিছু দিন বাঁচতে পারতেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক। ২০২০ সালে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় ম্যারাডোনার।