পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোভিড অতিমারি থেকে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে অবশ্যই এমন একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে জাতি, গোত্র, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে অর্থবহভাবে অবদান রাখতে পারে। পূর্বের থেকেও ভালো অবস্থায় ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে শান্তির সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করার কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক জাতিসংঘের উচ্চতর ফোরামে প্রদত্ত স্বাগত বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানা যায়। কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমসমূহের অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি আরো এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতি যে রূপান্তরধর্মী ভূমিকা পালন করতে পারে তা তুলে ধরা হয় উচ্চ পর্যায়ের এই ফোরামে। দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে উদ্বোধনী পর্ব ছাড়াও একটি প্লেনারি সেশন এবং ভার্চুয়াল প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি, ইউএন অ্যালায়েন্স ফর সিভিলাইজেশন এর উচ্চ প্রতিনিধি, জাতিসংঘ মহাসচিবের শেফ দ্যা ক্যাবিনেট এবং ইউনেসকো’র প্রতিনিধি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি উপস্থাপন এবং ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর সর্বসম্মতিক্রমে তা রেজুলেশন হিসেবে গৃহীত হওয়া এবং ২০১২ সাল থেকে উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আয়োজন করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া শান্তি ও উন্নয়নের পারস্পরিক গভীর আন্ত:সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে যথাসময়ে এজেন্ডা ২০৩০ এর বাস্তবায়নের প্রতিও আহ্বান ও জানান তিনি।