খোলা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা করে হলেও টিসিবিতে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যদ্রব্য। বাজারে পণ্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সাশ্রয়ে খাদ্যপণ্য বিক্রি করে আসছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
বর্তমানে দেশের বাজারে বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গতকাল রোববার (১০ অক্টোবর) টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টিসিবির আমদানি করা তুরস্কের পেঁয়াজের চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। সোমবার থেকে ট্রাকসেলে পেঁয়াজের বরাদ্দ বাড়ানো হবে। গাড়ি প্রতি ৭০০ কেজি করে পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলে।
টিসিবি জানিয়েছে, তুরস্কের পেঁয়াজের সঙ্গে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। করোনাকাল ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সয়াবিন তেল, পিঁয়াজ, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি কার্যক্রম গত বুধবার থেকে চলমান রেখেছে টিসিবি।
এ কার্যক্রম আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে শুধু শুক্রবার ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকবে। টিসিবি বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করছে ৫৫ টাকায়। সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার। এক্ষেত্রে প্রতি ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, মসুর ডাল ও তেল এবং পেঁয়াজ কিনতে পারছেন চার কেজি করে।
দেশের বাজারে গত কয়েক দিন ধরে লাগামহীনভাবে বাড়ছে পিঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে নিত্যপণ্যটির দাম। ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। হঠাৎ পেঁয়াজের এই দাম বাড়ার কারণে তুরস্ক থেকে আমদানি করা পিঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মাধ্যমে নিত্যপণ্যটি নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।