আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকরা পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে ‘সম্প্রীতি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ চেয়েছি, আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশ পেয়েছি। এ জন্যই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে একটি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অপশক্তিরা কোনো না কোনো প্রমাণ রেখে যায়, যার মাধ্যমে আমরা অপশক্তির মানুষগুলোকে চিনতে পারি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আজ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে দেশ। তখনই একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকরা এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়, সরকারের অগ্রযাত্রাকে ক্ষুণ্ন করতে চায়। একাত্তর ও পঁচাত্তরের অপশক্তিরা এখনো তৎপর। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৃত, এখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় তারা।
তিনি আরও বলেন, যারা প্রতিদিন কারফিউ দিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের কথা বলে। অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে হবে। তারা দলের মধ্যে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, সেই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেসব অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। সব ধর্মের মানুষই সম্প্রীতির কথা বলবেন, মানুষের কথা বলবেন। আমাদের পরিচয়, আমরা মানুষ।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে সমাবেশে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, সরকারি প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গনি পাটোয়ারী, জেলা জজ কোর্টের পিপি রনজিত রায়, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা সুভাষ চন্দ্র রায়, তমাল ঘোষ প্রমুখ।
এদিকে, সমাবেশ শেষে শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের দুটি পূজামণ্ডপ ও আখড়া পরিদর্শন করেন। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।