ফের বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। একসঙ্গে লিটারে বেড়েছে ৮ টাকা। গ্রাহকদের সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে প্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে হবে ১শ ৬৮ টাকা করে।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটাই জানা যায়।
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের তেল ব্যবসায়ী মো. করিম উল্লাহ বলেন, বিশ্ববাজারে দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। যদি সরকার কর কমায় তাহলে তেলের দাম কমানো সম্ভব।
কালশী বাজারের তেল বিক্রেতা কিবরিয়া বলেন, আবারও তেলের দাম বাড়ায় তেল বিক্রি কমতে শুরু করেছে। আগে যে, ক্রেতা পাঁচ লিটার তেল কিনতেন, এখন তিনি এক লিটার করে নিচ্ছেন।
তেল আমদানি ও বিপণনকারী শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান টি কে গ্রুপের পরিচালক মো. আথহার তাসলিম বলেন, ‘আমরা ১শ ৭২ টাকা লিটার প্রস্তাব করেছিলাম গত ১৮ নভেম্বর। বার বার তাগাদা দেওয়ার পর এখন অনুমোদন দেওয়া হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেশি’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যখন তেলের দাম লিটারে ১শ ৭২ টাকা প্রস্তাব করেছি, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিনের দাম ছিল ১ হাজার ২শ ৮০ ডলার। এখন সে দর এক হাজার ৪শ ৪০ ডলারে উঠেছে। ভোজ্যতেলের ওপর তিন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) রয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে।
রাজধানী পল্লি এলাকার বাসিন্দা লাকি আক্তার বলেন, দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়ত অকল্পনীয়ভাবে বেড়েই চলেছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত মানুষেরা সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে ভবিষ্যতে সোয়াবিন তেল দিয়ে রান্না করতে পারবে না সাধারণ মানুষ।
এর আগে, ২০২০ সালের শেষে থেকে দেশে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। ওই বছরের অক্টোবরে পাঁচ লিটারের একটি বোতলের দাম ছিল ৫০৫ থেকে ৫১৫ টাকা, যা এখন ৭৯৫ টাকায় উঠেছে। এ দফার আগে গত অক্টোবরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বেড়ে ১শ ৬০ টাকা হয়েছিল।
নতুন দাম অনুযায়ী, সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৩০ টাকা বেড়ে ৭৯৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৩৬ টাকা থেকে ১৪৩ টাকা এবং খোলা পাম তেল ১১৮ টাকার বদলে ১৩৩ টাকায় বিক্রি করা হবে।