ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন ইত্যাদি প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এটি ডিজিটাল যুগের মহাসড়ক।
রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উন্নত বিশ্বে ফাইভ-জি প্রযুক্তির ব্যবহার ও দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের প্রয়োগ বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার,ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা এবং এর অধীনস্থ সকল অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড বিশ্বব্যাপী ফাইভ-জি প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ১৮ সালের জুলাই মাসে ৫জি প্রযুক্তি পরিক্ষা ও ১২ ডিসেম্বর ২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি যুগের যাত্রা শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, থ্রি–জি বা ফোর–জির মতো ফাইভ–জি প্রযুক্তি শুধু মুঠোফোন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয় বরং ওয়াই–ফাই এর মতো প্রযুক্তিতে যেকোনো ডিভাইস বা যন্ত্রের সাথে যন্ত্রেরে সংযুক্তিও থাকতে পারবে। এই প্রযুক্তি ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সবাইকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হবে এবং মেশিন, অবজেক্ট ও ডিভাইসগুলোকে একই সূত্রে গাঁথবে।
ফলে তথ্য আদান-প্রদান, ভিডিও কল, কল কনফারেন্স এবং ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাসহ দেশে শিল্প বাণিজ্য ও কৃষি এবং মৎস্য চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ফাইভ–জি এমন একটি নতুন তারহীন প্রযুক্তি, যা রেডিও তরঙ্গের ব্যবহার আরও বেশি নিশ্চিত করবে এবং একই সময় একই স্থানে বেশি মুঠোফোন ইন্টারনেটের সুবিধা নিতে পারবে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে, অনলাইন এডুকেশনে এক যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে আসবে। স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক রদবদল ঘটবে। মেডিকেল ডিভাইসের সঙ্গে ফাইভ–জি ব্যবহার করে ডাক্তার দূরের কোনো রোগীকে শহরে বসেই জরুরি চিকিৎসা দিতে পারবেন। এমনকি রোবোটিক সিস্টেমের সাহায্যে রিমোট সার্জারি করতে পারবেন।