দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। গত বছরের ৫ এপ্রিল বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বজলুর রশীদকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন।
এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২৯ মে পর্যন্ত জামিনাদেশ স্থগিত করেন। একইসঙ্গে শুনানির জন্য ২৯ মে নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
২০২২ সালের ৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ দুর্নীতি মামলায় বজলুর রশিদকে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বজলুর রশিদকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়। ওই বছরের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।