অস্ত্র মামলায় ফরিদপুরের বহুল আলোচিত ইতিয়াজ হাসান রুবেলসহ দুইজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে পিস্তল রাখার দায়ে দুজনকে ১০ বছর করে এবং গুলি রাখায় ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন শহরের শোভারামপুর এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম বিপুল। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ফরিদপুরের শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতের সহোদর। তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলাসহ বিচারাধীন ৯ মামলার মধ্যে এই প্রথম কোনো মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওয়াব আলী রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকে অপরাধ করেও যে পার পাওয়া যায় না, এ রায়ে সেটি প্রমাণিত হলো।
সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে ২০২০ সালের ৭ জুন রাতে আটক করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলার আসামি হিসেবে ওই রাতে তাদের সহযোগী হিসেবে আরো সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর দুটি অস্ত্র মামলা এবং ২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলাসহ বরকত-রুবেল ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, ওই সময় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে সাজ্জাদ হোসেন, ইমতিয়াজ হাসান ও রেজাউলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলার আসামি হচ্ছেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। অপর একটি অস্ত্র মামলায় আসামি হচ্ছেন ইমতিয়াজ হাসান ও তার সহযোগী রেজাউল করিম। এর মধ্য রুবেল ও বিপুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অস্ত্র মামলাতে প্রথম বিচারকাজ শেষে রায় ঘোষণা করা হলো।