আধুনিক প্রযুক্তির কারণে হজের কাজ সম্পন্ন করতে এখন কোনো হয়রানির শিকার হতে হয় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘পবিত্র হজ কার্যক্রম-২০২৪’ (১৪৪৫ হিজরি)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ঘরে বসেই হজের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব ২০০৮ এর নির্বাচনের ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। আজকে তা বাস্তবায়ন হয়েছে। বাস্তবায়ন হয়েছে বলে এই সুযোগটা আপনারা সবাই পেয়েছেন। ঘরে বসে সব কাজ করতে পারেন। কোনোরকম হয়রানির শিকার হতে হয় না। হজের রেজিস্ট্রেশন সরাসরি অনলাইনে করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি, সেখানেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জন্য এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কারবালার ময়দানের যে ঘটনা ঘটেছে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ১৫ আগস্ট। কারবালা ময়দানে নারী শিশুদের হত্যা করা হয়নি। বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট নারী শিশু কেউ রেহাই পায়নি। আমার ছোট বোন, আমি বিদেশে ছিলাম। মাত্র ১৫ দিন আগে দেশ ছেড়ে যাই। আমার স্বামীর কর্মস্থল জার্মানিতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছোট বোনকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা বেঁচে যাই, কিন্তু এই বেঁচে যাওয়াটাও বড় কষ্টের। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। আমার বাবা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন, এ কাজটাই আমাকে করতে হবে। আমি অন্তত এটুকু বলতে পারি আমি এই কাজটা করতে পেরেছি।
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।