রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের প্রকৌশলী (সিজিজিসি) মোহাম্মদ ফুলবাবুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। গ্রেফতার আসামির নাম মো. মাসুদ রানা (৩৪)।
শুক্রবার (১০ মে) র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১৩ এপ্রিল মোছা. জোসনা খাতুন (৩৬) মোবাইল ফোনে খবর পান, তার স্বামী সিজিজিসি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফুলবাবু উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পরে এ ঘটনায় তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল ১২টার দিকে আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের নিচে নিহত ফুলবাবু এবং তার অফিস স্টাফ ইয়াছিনের সঙ্গে আসমানী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯৪৭৭) হেলপার মাসুদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হেলপার মাসুদ জোরপূর্বক অফিস স্টাফ ইয়াছিনকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে হাউজ বিল্ডিংয়ে নামিয়ে দেন।
এর প্রতিবাদ করলে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় আসমানী পরিবহনের স্টাফদের সঙ্গে সিজিজিসির কয়েকজন কর্মচারীর হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে একই দিন বাসের হেলপার মাসুদসহ আরও কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে সিজিজিসির ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফুলবাবুকে হত্যার উদ্দেশে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুর পৌনে ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে গত ১৪ মার্চ ফুলবাবুর স্ত্রী জোসনা উত্তরা পশ্চিম থানায় হেলপার মাসুদসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। হেলপার মাসুদসহ হত্যায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৯ মে রাত ২টার দিকে রাজধানীর গাবতলী থেকে মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। মাসুদ রংপুর সদরের ধাপ কটকি পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলপার মাসুদ জানিয়েছে, সে গ্রেফতার এড়াতে নাম ও ঠিকানা গোপন করে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।