সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাস্তার জন্য কোন যানজট হচ্ছে না। শুক্রবার (১৪ জুন) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদযাত্রা স্বস্তিকর হয়েছে। গত কয়েকবছর ধরেই মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে। এবার আমরা আরও মনোযোগী হচ্ছি দুর্ঘটনা কমাতে। সড়কে চাপ আছে, কিন্তু যানজট নেই। সড়কে চাপ থাকবেই। রাস্তার জন্য কোন যানজট হচ্ছে না। সর্বকালের সবচেয়ে ভালো সড়ক এখন। পশুর হাট, গাড়ি রাস্তায় চাপ সৃষ্টি করে।’
পশুবাহী গাড়ি বসিয়ে যাতে দুর্ভোগ না বাড়ে এ জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধও জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ এড়ানো কঠিন।’
কোরবানি ঈদ সামনে রেখে রাজধানী ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন মানুষ। এতে মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে বহুগুন। শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহন ধীর গতিতে চলতে দেখা যায়।
গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় টঙ্গী থেকে মিলগেট এলাকা ও ভোগড়া বাইপাস থেকে চান্দনা চৌরাস্তা অংশে যানবাহনের লম্বা সারি দেখা গেছে। এ সময় মহাসড়কের অন্যান্য স্থানে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গাড়ির চাপ বেশি থাকায় চন্দ্রা কেন্দ্রিক যানবাহনের জটলা রয়েছে। গাড়ির অপেক্ষায় অবস্থান করতে দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের। অনেকেই ট্রাক, পিকআপসহ খোলা গাড়িতে চড়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতুতেও বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে করে সেতুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে ছনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে মহাসড়কে তেমন কোন ভোগান্তি নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাড়ছে যাত্রীদের অপেক্ষা, বেশি ভাড়ার অভিযোগ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাড়ছে যাত্রীদের অপেক্ষা, বেশি ভাড়ার অভিযোগ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
মহাসড়কের আলেখারচর ও সেনানিবাস এলাকায় পরিবহনের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। তবে সকাল থেকে মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান বেশি দেখা গেলেও যাত্রীবাহী পরিবহনের সংকট চোখে পড়ে। আর এ কারণে দূরপাল্লার বাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।