খুলল পোশাক কারখানা, আইডি কার্ডই শ্রমিকদের কারফিউ পাস, কারফিউর মধ্যে টানা চার দিন বন্ধ থাকার বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে সারাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাগুলো চালু হয়েছে।
এর আগে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে তার বাসভবনে বৈঠক করেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান, সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সিদ্দিকুর রহমান ও আবদুস সালাম মুর্শেদী, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।
বৈঠক শেষে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার থেকে তৈরি পোশাক কারখানার পাশাপাশি সংযোগশিল্পের কারখানা খুলবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। এই আইডি কার্ডই কারফিউ পাস হিসেবে কাজ করবে।
এদিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা ইপিজেড ছাড়া অন্যান্য এলাকার অধিকাংশ শিল্পকারখানা গতকাল চালু হয়েছে। এর বাইরে ময়মনসিংহের ভালুকা, মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকার কিছু কারখানা সীমিত আকারে উৎপাদনে ফিরেছে। যদিও গাজীপুর ও ভালুকার কিছু কারখানা কর্তৃপক্ষ উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি নিলেও প্রশাসনের বাধার মুখে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দেন তিনি।
আড়ও পড়ুন: ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন ও কারাগারে হামলার পরিকল্পনা ছিল শিবিরের
খুলল পোশাক কারখানা, আইডি কার্ডই শ্রমিকদের কারফিউ পাস, ওই বৈঠকে চট্টগ্রামের কারখানা চালুর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হয়। তবে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কারখানা খোলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরেকটু পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গত বুধবার রাত থেকে চরম সহিংস রূপ লাভ করে। এর জেরে বৃহস্পতিবার থেকে অচলাবস্থা তৈরি হয় আমদানি ও রপ্তানিতে। আর পরদিন শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারির পর বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ শিল্পকারখানা।