বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত কখনও ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিল না। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি যদি কোথাও প্রমাণিত হয় আমাদের একজন কর্মী সন্ত্রাস করেছে, তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবো। এমন কিছু হলে নিজেরা নিজেদের আইনের হাতে সোপর্দ করবো।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইমক্যাব) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত সবসময় গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছে। জামায়াতের দুই জন মন্ত্রী সরকার পরিচালনায় ছিলেন। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কখনও তাদের স্পর্শ করেনি।’
‘দেশের কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে আমাদের অপবাদ দেওয়া হতো। এমনকি গাইবান্ধায় যখন একজন এমপি নিহত হন, তখন সংসদে দাঁড়িয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হত্যার জন্য জামায়াতকে দায়ী করলেন। পরবর্তী সময়ে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য দায়ী করে ১ আগস্ট অন্যায়ভাবে নির্বাহী আদেশবলে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দল হিসেবে এটা আমাদের ওপর সব চেয়ে বড় জুলুম। আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, সহায়-সম্পদ, ধর্মীয় উপাসনালয় পাহাড়া দিয়েছি, যাতে কেউ ভাঙচুর করতে না পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সব মানুষ সমান। এখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর কোনও প্রশ্ন নেই। নাগরিক হিসেবে সবাই সমান অধিকার পাবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই, দেশে দ্রুত শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসুক। দেশের সংবিধান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার হওয়া দরকার।’
‘দল বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বিভাজন করা যাবে না। আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। দল হিসেবে আমরা সবার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা অসত্য, বানানো অভিযোগ দিয়ে কাউকে হয়রানি করা পছন্দ করি না। জামায়াত কখনও কোনও হয়রানিমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না।’ বলেন শফিকুর রহমান।