বরিশালে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে। জমি দখল করতে না পেরে সেই জমির ওয়ারিশদের বিভিন্ন সময় মামলা করে হয়রানি করেছেন। এমনকি জমির একজন ওয়ারিশ মারা গেলে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে দেননি। উলটো পুলিশ দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা দায়ের করিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের একটি সাংবাদিক সংগঠনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি তোলেন ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম হিরণ, হারুন আকবর ও নেহার বেগম। তারা নগরীর নিউ সার্কুলার রোড মুহুরী বাড়ির বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. কামরুল ইসলাম হিরণ।
তিনি জানান, নিউ সার্কুলার রোড মুহুরী বাড়ির মৃত জুলমত আলীর ওয়ারিশগণের ১৩৯ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে জাহাঙ্গির কবির নানক ও তার ভাই নাসির আহমেদ লিটু। নানকের বাবা বজলুর রহমান সন্যামত বরিশাল কালেক্টরেট অফিসের কর্মচারী হওয়ার সুযোগে জুলমত আলীর নামের ১৩৯ শতাংশ জমির কাগজপত্রে গড়মিল করেন। এরপর থেকে শুরু হয় জমি দখলের পাঁয়তারা। দখলে নিতে না পেরে প্রথমে নানকের বাবা এবং পরে নানাক ও তার ভাই মিলে জমি দখলে নিতে মামলা চালিয়ে আসছে। নানক বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জুলমত আলীর ওয়ারিশদের বিভিন্ন মামলায় আসামি করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, সিএস রেকর্ডীয় সম্পত্তি ১৮৫৯ সালে ১১ আইনে তৌজি নিলামভিত্তিক নিলাম খরিদদার বাবু ‘অশোক চন্দ্র গুপ্তের নিকট হইতে বন্দোবস্ত নিয়া ১৯৪৮ সালে আরএস রেকর্ড করাইয়া নেন। এ সময় নানকের পিতা বজলুর রহমান সন্যামত সিএস রেকর্ডীয় দখলকার প্রজা আ. মোতালোণংদের বিরুদ্ধে প্রথমে ১৯৫৫ সালে ফৌজদারি মোকদ্দমা দায়ের করেন এবং বিচারে তিনি হেরে যান। আ. মোতালেবদের বিরুদ্ধে দখল প্রমাণে ব্যর্থ হলে নানকের বাবা দেওয়ানী আদালতে ৬১/৫৯নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। যেখানে তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে আ. মোতালেব ওরফে মোসলেম আলী হাওলাদারের পিতার নাম জুলমত আলী হাওলাদারের পরিবর্তে তহম্মদ লিখিয়া বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেন।
দ্রুত জমির মামলা অবসানের পাশাপাশি হয়রানির বিচার চান তারা।