ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী বলেছেন, অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে (শীতলক্ষ্যা হল) গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা কথা বলেন।
ঢাদসিক প্রশাসক শের আলী বলেন, ‘আমি যতদূর শুনেছি, তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি আদালত সাময়িক স্থগিত করেছে। আদালতের আদেশ প্রতিপালন করতে আমরা সবাই বাধ্য। কিন্তু আমরা এখানও আদালতের আদেশটি হাতে পাইনি।’
আপনারা জানেন, যিনি কনসার্ন ব্যক্তি তিনি আদালতের আদেশ দ্রুত সংগ্রহ করে তার সঙ্গে রাখেন। আর আদালত থেকে সংশ্লিষ্ট আদেশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থায় অফিসিয়ালি আসতে একটু সময় লাগে। আমরা দ্রুতই আদেশ পেয়ে যাবো। আদেশটি পেলে ডিএসসিসির আইনজীবীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
আদালতের আদেশ দাফতরিকভাবে আপনাদের কাছে না আসা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কীভাবে এখনও অফিস করছেন এবং এ ধরনের কার্যক্রমকে পেশিশক্তির ব্যবহার মনে করেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের ছাত্র-জনতা অনেক রক্ত দিয়েছে। আপনার-আমার সবার মাঝে একটি বড় প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। এই প্রত্যাশা পূরণে কোনও জায়গায় কোনও অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা থাকলে আমরা নিয়মের মাধ্যমেই সেসব মোকাবিলা করবো।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিরি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহতাব আহমেদ, সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. আবু তৈয়ব রোকন, নির্বাহী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৪ আগস্ট সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে। এর আগে তিনি ঐচ্ছিক অবসরের আবেদন করলেও তা গ্রহণ না করে অযোগ্যতা ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তিনি অফিসে আসছেন এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।