ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাও দেশ ছাড়েন। তবে, কখন ও কীভাবে তারা পালিয়েছেন সে সম্পর্কে কারও কাছে সুনির্দিষ্ট তেমন কোনো তথ্য ছিল না। অবশেষে সেই তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা এপিবিএন সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত সরকারের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনেকেই অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে গেছেন। জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, গত ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট তারা পালিয়ে গেছেন। তবে এখন পালানো দুরূহ হয়ে গেছে। বর্ডার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অকারণে আসামি করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন কোনো মামলা পুলিশ বাদি হয়ে করছে না। মামলাগুলো করছে সাধারণ জনগণ। অনুসন্ধানে যে দোষী সাব্যস্ত হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে ৩৫০ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ
প্রভাবশালী আওয়ামী নেতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দায়িত্ব তাদের গ্রেপ্তার। আপনাদের দায়িত্ব আমাদের তথ্য দেওয়া। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে, আপনারাও অনুসন্ধানি সাংবাদিকতা করুন।
তিনি বলেন, পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তথ্য প্রদানের জন্য প্রয়োজনে খরচের ব্যয়-ভাড়া বহন করা হোক। এ সময় গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বর আহতদের প্রয়োজনের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।