অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে চাল, ডাল, ও মুরগির দাম। স্থিতিশীল রয়েছে মাংস ও সবজির বাজার। বিক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেট জটিলতা না থাকায় নাগালের মধ্যে রয়েছে এসব পণ্যের মুল্য। আর ক্রেতাদের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে নিত্যপণ্যের দাম আরও কমিয়ে আনা সম্ভব।
বছর খানেক আগেই ভরা মৌসুমে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল প্রায় দেড়শত টাকা। সেঞ্চুরি হাকিয়ে ছিলো বেগুন, করোলা, শিম, বরবটি ও কাঁকরোল এর মতো সবজিগুলোও। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্য ক্রয়ে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছিলো সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। তবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের ৮ মাসের মাথায় স্বস্তি মিলেছে নিত্যপণ্যের বাজারে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাওরান বাজার ঘুরে দেখা গেলো প্রায় সব রকমের সবজির দাম রয়েছে নাগালের মধ্যে। স্থিতিশীল রয়েছে ডিম ও মাংসের বাজার। বিক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেট জটিলতা ও উৎপাদন ঘাটতি না থাকায় স্বস্তি ফিরেছে নিত্যপণ্যের বাজারে।জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকায় খুশি ক্রেতারাও। তবে তাদের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করলে ফের আগুন লাগবে নিত্যপণ্যের বাজারে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে ইলিশের দাম। তবে অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা বাড়তি। কমেছে চাল, ডালসহ অন্যান্য মুদি পণ্যের দামও। সোয়াবিন তেল ও বিশেষ কিছু সবজির দামে জোয়ার-ভাটা থাকলেও ক্রেতাদের দাবি, নিত্যপণ্যের বাজারের এমন স্বস্তির দেখা মিলেনি গত দুই দশকেও।