সরকারের লক্ষ্য দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণযুগকে ফিরিয়ে আনা এবং বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের বাজার দখল করা বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল (রবিবার) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের শিল্পীদের অবদানের সর্বোচ্চ স্বীকৃতির পুরস্কার তুলে দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘আমাদের চলচ্চিত্র জগতের বন্ধ্যাকাল শেষ হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি ভালমানের চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।’ চলচ্চিত্র শিল্পকে ‘বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন গণমাধ্যম’ হিসেবে অভিহিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এই শিল্প যাত্রা শুরু করেছিল।
হাছান মাহমুদ আরোও বলেন, মানুষ সিনেমা হল বিমুখ হওয়ায় সারাদেশের অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন এই শিল্পের বন্ধ্যাকাল শেষ হয়েছে। সিনেমা হলের মালিকদেরকে সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিতে আমি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, দেশে সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে রক্ষা করা দরকার। সরকার আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিসহ চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে এফডিসির জন্য প্রায় ৩২৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি খুব কম সময়ের মধ্যেই বিশ্বমানের একটি স্পটে পরিণত হবে। একটি চলচ্চিত্র সমাজের আয়না এবং এটি মানুষ ও ইতিহাসের কথা বলে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে এবং কিছু সিনেমা আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও প্রশংসাও পাচ্ছে।’ এ ছাড়া মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র জগতের শিল্পীদের কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব আবদুল মালেক।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি