বিগত এক দশকে দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ। আমরা গত দশকে দারিদ্র্য অর্ধেকে কমিয়ে এনেছি। এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। আমাদের পথ চলা এখনো শেষ হয়নি। বর্তমান সরকার আগামী ৫ বছরে ৫ শতাংশ দারিদ্র্য কমিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ- সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী বৃত্তি ও সিলেট গৌরব সস্মাননা ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এই শিক্ষাবৃত্তি এবং সম্মাননা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মা-বাবার নামে চালু আছে।
তাঁর বাবা ও মা দুজন’ই শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তাঁর মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী সিলেটে শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুণীজনের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে দেশ এগিয়ে যাবে। দেশমাতৃকার ভক্তি নিয়ে স্বদেশের কল্যাণে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে স্বল্পসুদে শিক্ষা ঋণ চালু করার অনুরোধ করেছি। ছাত্ররা ঋণ নিলে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে। শিক্ষা শেষে কর্মজীবনে গিয়ে তারা এ ঋণ শোধ করে দেবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ২ হাজার শিক্ষার্থীকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। তাছাড়া সিলেটের অধিবাসী ১৩ জন গুণী ব্যক্তিকে সিলেট গৌরব সম্মাননা-২০২০ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গুণীজনকে স্বীকৃতি দিলে জাতি এগিয়ে যাবে। তাছাড়া মেধাবীদের সুযোগ না দিলে তারা এগিয়ে যেতে পারবে না।
প্রতিভা বিকাশ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ এস এ মুইজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়েলা খাতুন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকার সভাপতি ড. এ. কে. আব্দুল মুবিন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিফা হাফিজা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি