আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুনীল অর্থনীতির- (ব্লু ইকোনমি) সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে নিজস্ব সমুদ্র সীমার বাইরে বৈশ্বিক সমুদ্র-সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরলো বাংলাদেশ।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। শনিবার (২৭ জুন) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘সমুদ্রতলের সম্পদে টেকসই উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রাপ্ত সুবিধার ন্যায়সঙ্গত বন্টন: স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের সুযোগ’- শীর্ষক এক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্র সম্পদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আর সুনীল অর্থনীতি এক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। সক্ষমতা বিনির্মাণ, জ্ঞান বিনিময়, বিশেষ করে প্রশিক্ষণ, বিকল্প কারিগরি কর্মী তৈরি, গবেষণা ও অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টিসহ এতদবিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো
যেন সহযোগিতা পায় তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন সমুদ্র-সম্পদ আহরণ করে তা কাজে লাগাতে পারে সে লক্ষ্যে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। স্থায়ী প্রতিনিধি আইএসএর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সমুদ্র-তলদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ (আইএসএ) এবং স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের জোটের সভাপতিরা এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি