আর ক’দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। এ সময় দা, ছুরি, বটি, খান্ডাসহ কোরবানির সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামাররা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এখানকার কামার পল্লীগুলোতে কোরবানির সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ভীড় করত।
সারা বছর খুব ভাল না কাটলেও এ সময়টাকে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজে লাগাত। তবে এবার করোনার কারণে পাল্টে গেছে এখানকার কামারপল্লীর চিত্র। নেই তেমন ব্যস্ততা, কমে গেছে কাজের পরিধি। শুধুমাত্র দা, বটি, খান্ড সান দেয়া ছাড়া নতুন সামগ্রী তৈরীর চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।
এদিকে, দাম বেড়েছে এসব সরঞ্জাম তৈরীর কাঁচামালসহ কয়লা ও রেতের। তেমন চাহিদা না থাকায় সীমিত লাভেই এসব পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। উপার্জন কমে যাওয়ায় পবিবার পরিজন নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রায় ৫ হাজার কামার রয়েছেন। রোজগার কমে যাওয়ায় নিজের পরিবারের ভরণ-পোষণের পাশাপাশি কারিগরদের বেতন ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। তাই প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন কামার শিল্পীরা।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি