মৌসুমের শুরুতেই কয়েক দফা বন্যা এবং অতিবৃষ্টিতে বীজতলা এবং রোপনকৃত আমনের চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঝালকাঠিতে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। তারা জানিয়েছে, জমি থেকে পানি না নামায় চাষ করা যাচ্ছে না। এছাড়া বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে চারা সংকট।
এছাড়া যে পরিমাণ চারা অবশিষ্ট আছে তা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক জমিও রোপন করা সম্ভব নয়। অর্থসংকটের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে অন্যত্র থেকে চারা সংগ্রহ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ রকম পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগ থেকে কোনো প্রকার সহায়তা তারা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে, আগাম ব্যবস্থা হিসেবে ১২০টি ভাসমান বেডে বীজতলা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর ফলে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানালেন ঝালকাঠির খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফজলুল হক।
ঝালকাঠি জেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে মাত্র ১০ হাজার একশ’ ২৫ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ১৮ ভাগের মত।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি