ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক বছর আজ। গত বছর দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর একে একে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য ক্লাবগুলোতে র্যাবের ধারাবাহিক অভিযানে বেরিয়ে আসতে থাকে ক্যাসিনোর অন্ধকার জগৎ।
এ অভিযানে আনুমানিক ২৭০ কোটি টাকার মতো এফডিআর ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। হঠাৎ করেই শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানে একে একে ধরা পড়ে ক্ষমতাসীন দলের অনেক বড় নেতা। ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ একে একে গ্রেফতার হন ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন বড় নেতা।
ক্যাসিনো অভিযানের ঘটনায় ৩২টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ১৪টি মামলা তদন্ত করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় র্যাব। এর মধ্যে ১৪টি মামলার মধ্যে ১৩টি মামলার চার্জশিট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বাকি একটি মামলা আদালতের নির্দেশক্রমে চার্জশিট স্থগিত আছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক বছর পূর্ণ হবে। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান বর্তমানে স্থগিত আছে বলে মনে হতে পারে, কিন্তু সেটা চলমান। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হলো, সম্প্রতি অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো অপারেশন। এ ধরনের অভিযানও পরিচালনা করে আসছে র্যাব। অর্থাৎ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান বর্তমানেও অব্যাহত আছে।
নিউজ ডেস্ক/ বিজয় টিভি