মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব ফুটিয়ে তোলার জন্য ধর্ষক ও নির্যাতনকারীরা নারীদের দুর্বল মনে করে। নারীরা দুর্বল নয়। এদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, সংসদের উপনেতা ও বিরোধী দলীয় নেতাও নারী।
দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে নারীরা বিচারক, সচিব, মেজর জেনারেল, ডিসি ও এসপি পদে দায়িত্ব পালন করছে। কোন অবস্থাতেই নারী নির্যাতন মেনে নেওয়া হবেনা। তিনি আরও বলেন, নারী নির্যাতনের যে কোন ঘটনা ঘটলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ ছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ (বুধবার) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সভাকক্ষ থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত মতবিনিময় সভার দ্বিতীয় দিনে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্মসচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ।
বিশেষ অতিথীর বক্তব্যে সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, বাংলাদেশের নারীরা সোচ্চার হতে শুরু করেছে। নির্যাতন ও সহিংসতার বিষয় গোপন রাখার ধ্যানধারণা থেকে বের হয়ে এসেছে। নারীরা যেন নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনা সাহসের সাথে তুলে ধরতে পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্যাতিত নারীদের পাশে দাড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক পারভীন আকতার বলেন, নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের যানবাহন, থোক বরাদ্দ, ক্ষুদ্র ঋণের পরিমান বৃদ্ধি এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভবন নির্মানের বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি