নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ পুরাতন ব্রম্মপুত্র নদীতে স্থাপিত ড্রেজার কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ড্রেজিংএর মাধ্যমে নাব্যতা পুনরুদ্ধারের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নাব্যতারক্ষা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ নৌপথ পুনরুদ্ধার জন্য সারাবছর ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর লক্ষ্য “পুরাতন ব্রম্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার” প্রকল্প গ্রহণ করেছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলার পুরাতন ব্রম্মপুত্র নদের ১৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হচ্ছে।

শেরপুর সদর উপজেলার ব্রম্মপুত্র ব্রীজ হতে জঙ্গলদী চর হয়ে ভাটিপাড়া চর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারে ৫৫.৭৮ লক্ষ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং ৪১.৮৪ লক্ষ ঘনমিটার মেইনটেনেন্স ড্রেজিং করা হবে। এজন্য ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ অক্টোবর ২০২০ এ শুরু হয়ে ২০২৪ এর জুনে শেষ হবে। এরফলে সারাবছর পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে চলতে পারবে। কৃষিকাজে সেচ ও মৎস্যচাষে সহায়ক হবে।

প্রতিমন্ত্রী শেরপুরে ড্রেজিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, নদীখননের মাধ্যমে সারাদেশে নৌবাণিজ্য সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান হবে, বেকারত্ব দূর হবে ও কৃষিনির্ভর কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন সহজ হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অঙ্গিকার শত বছরের পুরনো নদীর গতিপথ ফিরিয়ে আনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন; তারই ফলশ্রতিতে সারাদেশে ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসাইন খান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুস সামাদ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ টি এম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।

নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি