দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকলে গত ১০ দিনে ১৩ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৫৫৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। চিনি আহরণের শতকরা হার হচ্ছে ৫ দশমিক ৫০ ভাগ।
চিনিকল সূত্র জানায়, জয়পুরহাট চিনিকলের ২০২০-২০২১ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয় গত ১৮ ডিসেম্বর। চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে এক লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১০ হাজার ৬ শ ৯২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। আখের অভাবে অব্যাহত লোকসান কমাতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার উত্তরাঞ্চলের তিনটি চিনিকল এলাকার এক লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করা হবে দেশের বৃহত্তম চিনিশিল্প জয়পুরহাট চিনিকলে।
এরমধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট এলাকার ৬০ হাজার মেট্রিক টন আখ , শ্যামপুর চিনিকলের ৫০ হাজার ও মহিমাগঞ্জ চিনিকলের ৫২ হাজার মেট্রিক টন আখ। চলতি ২০২০-২১ আখ মাড়াই মৌসুমে তিনটি মিল থেকে সংগৃহীত ১ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১০ হাজার ৬ শ ৯২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জয়পুরহাট চিনিকল কর্তৃপক্ষ। চিনি আহরণের শতকরা হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৬০ ভাগ।
এটি হচ্ছে জয়পুরহাট চিনিকলের ৫৮ তম মাড়াই মৌসুম। এবার ১ শ ১০ দিন মিল চালু থাকবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। জয়পুরহাট চিনিকলে প্রতিদিন ১৬শ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করা হবে।
এরমধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট এলাকার ৫শ মেট্রিক টন, শ্যামপুর চিনিকলের ৬শ ও মহিমাগঞ্জ এলাকার ৫শ মেট্রিক টন। শ্যামপুর ও মহিমাগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখ ক্রয় করে ট্রাকের মাধ্যমে জয়পুরহাট চিনিকলে সরবরাহ করছে। ইতোমধ্যে শ্যামপুর চিনিকল এলাকা থেকে ১০৩ মেট্রিক টন ও মহিমাগঞ্জ চিনিকল এলাকা থেকে ৪৭ মেট্রিক টন আখ জয়পুরহাট চিনিকলে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান, জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো: আবু বকর। গতবারের মতো এবারও আখের মূল্য মিলগেটে প্রতি কুইন্টাল ৩ শ ৫০ টাকা এবং বাইরের আখ ক্রয় কেন্দ্রে থেকে ৩ শ ৪৩ টাকা দরে আখ ক্রয় করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। (বাসস)