ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের জটিলতা সহজে দূর হচ্ছে না। ক্যাপসুল সরবরাহকারী গ্লোব প্রতিষ্ঠানের এদেশি এজেন্ট বলেছেন, সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধ ভান্ডারে যথাযথ পরিবেশ না থাকায় ক্যাপসুলের আবরণে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ঔষধ ভান্ডার কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিষয়ে গঠিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাত সদস্যের কমিটি গতকাল রোববার কাজ শুরু করেছে। কমিটি জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের বক্তব্য নিয়েছে। গতকাল বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধ ভান্ডারও পরিদর্শন করেছে কমিটি।
উল্লেখ, জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ১৯ জানুয়ারি দেশব্যাপী ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন হওয়ার কথা ছিল। এই দিন ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের একটি করে ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের একটি করে ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি মাঠ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো স্থগিত করে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান ১৮ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভারতীয় কোম্পানির ওষুধ কিনতে সরকারকে বাধ্য করা হয়েছিল।
অ্যাজটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম আল ফারুক বলেন, এসব ক্যাপসুল উড়োজাহাজে করে দেশে এসেছে। বিমানবন্দর থেকে কেন্দ্রীয় ঔষধ ভান্ডারের গুদামে গেছে। ওই গুদামের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ঠিক মাত্রায় না থাকার কারণে ক্যাপসুলের আবরণে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে তাঁর ধারণা।
অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় ঔষধ ভান্ডারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, ক্যাপসুল মাত্র এক মাস গুদামে ছিল। কিন্তু ক্যাপসুল তৈরি হয়েছিল বেশ আগে। তদন্ত কমিটিকে দেওয়ার জন্য সব ধরনের কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সত্য বের হবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে।’
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি