তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন রচনার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন সম্ভব। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি যেন উদ্ভাবকদের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারে সে জন্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্যাম্পাসে বিজনেজ ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছে।
আজ রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সিলেট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক-এর ৩২ একর ভূমি বিশ্বখ্যাত ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড’ এর নিকট বরাদ্দ প্রদানের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে ইকরাম হোসেন নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সিলেট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের ৩২ একর জমির ওপর ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স। উক্ত বিনিয়োগের ফলে সেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রতিমন্ত্রী দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে বলেন, যে সকল দেশ, জাতি, প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাক্তি ইমার্জিং টেকনোলজির বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে তারাই জাপান, জার্মানির মত সুপার পাওয়ার হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, রোবটিক্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বিগডাটা, ব্লকচেইনসহ ইমার্জিং টেকনোলজি বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে হাতে কলমে শিক্ষা দিতে দেশে ৩০০টি স্কুল অভ্ ফিউচার, ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অভ্ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল ডিভাইস কারখানা স্থাপন করছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, র্যাংগস গ্রুপের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে ইকরাম হোসেন, সিলেট হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া।