তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যৎ অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
আজ বুধবার গ্রামীণ ফোনের ডিজিটাল স্কিলস একাডেমি “জিপি এক্সপ্লোরার্স ২.০” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিলেই চলবে না। প্রযুক্তিজ্ঞান আহরণের মাধ্যমে নেতৃত্বের জায়গা তৈরি করে নিতে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। তরুণদের প্রতিনিয়ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ সময় একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে জীবনের বাকি সময় কর্মজীবন পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
পলক বলেন, জিপি এক্সপ্লোরার্স ২.০ আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন স্কিলসে তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, দেশের তরুণদের কোডিং, প্রোগ্রামিংসহ প্রযুক্তি বিষয়ে বেসিক নলেজ প্রদানে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষতামুখী মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও ৩০০টি স্কুল অভ্ ফিউচার এবং নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তিবিশ্বের নেতৃত্ব দানের উপযোগী করে তুলতে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অভ্ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৪০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে মুক্তপাঠ ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত করা হবে। বর্তমানে ১০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এ প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে গ্লোবাল ভিলেজে এক দেশ হতে অন্য দেশে যাতায়াত প্রায় বন্ধ এবং প্রায় ৮০ শতাংশ যোগাযোগ কমে গেছে। এমন বৈরী পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের জিডিপি ৫.২ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
উল্লেখ্য, জিপি এক্সপ্লোরার্স ২.০ এ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৩৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান আফতাব উদ্দিন মাহমুদ, হিউম্যান রিসোর্স প্রফেশনালস সোলায়মান আলম ও ফারহানা ইসলাম।