চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার থেকে শুরু হওয়া অনলাইনের মাধ্যমে এ আবেদন কার্যক্রম আগামী ৮ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
অনলাইনে আবেদনের লিংক: https://www.admissionckruet.ac.bd/।
উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের যোগ্যতা ও অন্যান্য শর্তাবলি উপরোক্ত ওয়েবসাইট হতে জানা যাবে।
গত মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট এর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলামের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া আগামী ২ জুন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি জানান, পরীক্ষা চুয়েট, রুয়েট, কুয়েট প্রতিটি কেন্দ্রেই অনুষ্ঠিত হবে। একজন প্রার্থী তার বাড়ির দূরত্ব বিবেচনায় ভেন্যু নির্বাচন করবে।
আবেদনকারীর যোগ্যতা:
আবেদনকারীর মধ্য থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজি বিষয়ের মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম ৩০ হাজার প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড/কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/ সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ের প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে গ্রেড পয়েন্ট ৫.০০ পেতে হবে অর্থাৎ গণিত,পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে মোট গ্রেড পয়েন্ট ২০.০০ পেতে হবে। ইংরেজি ভার্সন/বিদেশি শিক্ষাবোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় উক্ত বিষয়সমূহে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০ পেতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০ পেতে হবে।
এ ছাড়া কোনো প্রার্থী GCE ‘O’ এবং GCE ‘A’ লেভেল পাস করে থাকলে তার ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য GCE ‘O’ লেভেলের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে আলাদাভাবে ‘A’ গ্রেড পেতে হবে। GCE ‘A’ লেভেল এর পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নে আলাদাভাবে ‘A’ গ্রেড পেতে হবে।।
এ ছাড়া বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে GCE ‘A’ লেভেল পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে ‘B’ গ্রেড পেতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি:
আগামী ১২ জুন ক বিভাগ (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) ও খ বিভাগ (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ স্থাপত্য বিভাগ) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ক বিভাগে মোট ৫০০ নম্বরের এম সি কিউ এবং খ বিভাগের জন্য মুক্তহস্ত চিত্র অঙ্কনের ২০০ নম্বরসহ মোট ৭০০ নম্বরের ওপর অনুষ্ঠিত হবে।