গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে চলছে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ দমনে সর্বাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করে দেশটির সামরিক সরকার। নির্বিচারে মানুষ হত্যায় মেতে উঠে তারা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার ও সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকট এবং এ সমস্যার সমাধান নিয়ে কোনো সুপারিশ না থাকায় হতাশ হয়েছে বাংলাদেশ এবং ভোটদানেও বিরত থাকে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো পদক্ষেপের সুপারিশ না থাকায় বাংলাদেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রস্তাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তা ছাড়া বলা হয়নি রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, স্থায়ীভাবে ও মর্যাদার সঙ্গে স্বভূমিতে ফেরত যাওয়ার জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথাও।
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রস্তাবটি পাস হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ১১৯টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে ভোট দেয় শুধু বেলারুশ। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল, ভুটান, লাওস, থাইল্যান্ড, রাশিয়াসহ ৩৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
প্রস্তাবে মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতি অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিকদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের সব সদস্যদেশের প্রতি মিয়ানমারে অস্ত্র যাওয়া প্রতিরোধে কাজ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।