শান্তশিষ্ট ও তৃণভোজী প্রাণী হিসেবে পরিচিত উট পাখি। মরুভুমির এই প্রাণী বাংলাদেশে লালন-পালন নিয়ে গবেষণা করছে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। উদ্দেশ্য প্রান্তিক খামারীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।
দেশে মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রায় এক বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উটপাখি সংগ্রহ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। তিন বছর গবেষণা শেষে দেশের খামারিদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে। ডিম থেকে বাড়ানো হবে প্রজনন।
এক-একটি পাখির ওজন ১৫০ থেকে ১৮০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উটপাখি তৃণভোজী। বছরে ডিম দেয় প্রায় ১০০টি। লালন-পালনে খরচও খুব কম।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে দেশের খামারিদের মাঝে এটি ছড়িয়ে দেয়া গেলে বাংলাদেশ দ্বিগুণ পরিমাণ মাংস উৎপাদনে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ গবেষকদের।
শখ নয়, বাণিজ্যিকভাবে দেশে উটপাখি পালন সম্ভব হবে, এমনটাই আশা প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের।