চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার, কড়ইয়া গ্রামের পাটিয়াল পাড়ায় এখনো শীতল পাটি তৈরি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে বেশকিছু পরিবার। এ এলাকার অনেকেই সেই বাপ-দাদার আমল থেকেই পাটির কাজ করে আসছেন। এতে প্রতি মাসে তাদের আয় হতো ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। যা দিয়ে মোটামুটি স্বচ্ছলভাবেই চলছিল তাদের পরিবার।
কিন্তু বর্তমানে, ঐতিহ্যবাহী সেই শিল্পের জায়গা দখল করেছে নানা রঙ-বেরঙের টাইলস, সুতোয় তৈরি ফ্লোর ম্যাট এবং প্লাস্টিকের সামগ্রী। এর পাশাপাশি, একদিকে করোনা পরিস্থিতি আর অন্যদিকে, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাটি বিক্রিতে লাভ হয় কম। অনেকে বাপ-দাদার এ পেশা ধরে রাখতে চাইলেও পুঁজির অভাবে বিপাকে পড়েছেন তারা।
এ বিষয়ে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ জানান, করোনাকালীন যারা শীতল পাটির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে তাদের উন্নয়নের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তাই করা হবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, চাঁদপুর জেলার ৩ শতাধিক পরিবার এ শীতল পাটি শিল্পের সাথে জড়িত। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প টিকে থাকবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।