করোনার ধাক্কা সামলাতে না পেরে বগুড়ায় বন্ধ হয়েছে বেশকিছু রেস্তোরাঁ। লকডাউন চলাকালীন রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চালু ছিল হোম ডেলিভারি সার্ভিস।
স্বাভাবিক সময়ে দিনের আলো নিভে গিয়ে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলা মাত্রই বগুড়ার জলেশ্বরীতলা এলাকার চিত্রই পাল্টে যায়। বিভিন্ন দোকানের পাশাপাশি রেস্তোরাঁর ঝলমলে আলো আকৃষ্ট করতে থাকে খাবার প্রেমীদের। কিন্তু, মহামারি করোনা ওলটপালট করে দিয়েছে সব। বিশেষ করে ছোট ছোট খাবার দোকান ও সদ্য গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট রেস্তোরাঁ মালিক গুটিয়ে নিয়েছেন ব্যবসা। জায়গা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন, ভ্যাট সবকিছু মিলিয়ে প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ লোকসান হয়েছে লকডাউনে। এদিকে, অনেকেই তাদের রেস্তোরাঁ খোলা নিয়ে রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। আর যারাও বা খুলেছে তাদের এত পরিমাণ বিনিয়োগ আছে যে, এখন বন্ধ করতে গেলে দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি মালিকদের। আর্থিক অনুদান নয় বরং বাৎসরিক ভ্যাটের সময়সীমা বৃদ্ধি, সহজ শর্তে লোন পাওয়ার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
আর, স্থানীয়ভাবে দোকান বা স্পেসভাড়া কিছুটা শিথিল করার অনুরোধ জানিয়েছে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। ক্ষতি পোষাতে প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনার কথা জানালেন ব্যবসায়ী নেতারা।
করোনার আগে জলেশ্বরীতলা এলাকায় খাবারের দোকান বা রেস্টুরেন্ট ছিল প্রায় ৫০টি। খুব শীঘ্রই রেষ্টুরেন্টগুলো ফিরবে তাদের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।