আইনগতভাবে নিবন্ধনহীন ১৬ হর্স শক্তির বেশি ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন নৌরুটে নৌযান চলাচলে মানা হচ্ছে না এসব কোনো কিছুই। নৌ-পথে চালকদের নেই কোনো প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ। রুট পারমিট ছাড়াই চলাচলকারী অসংখ্য নৌযানে নেই জীবন রক্ষাকারী কোনো সরঞ্জাম। এসব প্রশিক্ষণবিহীন অদক্ষ চালকের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে, বিভিন্ন সময়ই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
জেলা সদরের কারখানা ঘাট, আনন্দ বাজার ঘাট, মসজিদ ঘাট, জাহাজ ঘাট ও কাউতলী নৌকা ঘাট থেকে প্রতিদিন ৫ শতাধিক ছোট-বড় নৌকা যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। যাত্রীদের অভিযোগ, এসব রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি গাদাগাদি করে যাত্রী উঠানোয় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হয় তাদের। এছাড়াও যাত্রীবাহী নৌযানের পাশাপাশি বালুবাহী ভলগেট ও ট্রলারগুলোও চলাচল করে বেপরোয়াভাবে। এতে যেকোনো সময় প্রাণহানিসহ বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে, একটি নৌযানেরও রুট পারমিট নেই উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আর জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, নৌপথকে নিরাপদ করতে উচ্চতর কমিটি গঠনের কথা।
নদীপথের গতিশীলতা ফেরাতে ২০১২ সালে, আশুগঞ্জ-ভৈরব রিভারপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু জেলার বেশিরভাগ স্থানেই এ কার্যক্রমের নেই কোনো তৎপরতা। নৌ-যাত্রা নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।