‘নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে ফুলের মতো ফুটবো, বর্ণমালার গরব নিয়ে আকাশ জুড়ে উঠবো’ করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে এ স্লোগান।
প্রতি বছর জানুয়ারির শুরুতে বই উৎসব শুরু হয়। কিন্তু গত দুই বছর ধরে এ উৎসবে শামিল হতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
নতুন বইয়ের সঙ্গে থাকতো একটি করে সতেজ ফুল। বই উৎসব উপলক্ষে স্কুলগুলোয় বসতো শিক্ষার্থীদের আনন্দমেলা। বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা খুশিতে মেতে উঠতো। কিন্তু করোনা মহামারী ম্লান করে দিয়েছে তাদের আনন্দ আয়োজন।
শনিবার (১ জানুয়ারি) নগরের স্কুলগুলোর আঙ্গিনায় দেখা যায়নি আগের সেই বই উৎসবের আমেজ। শুধু পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হচ্ছে, যেখানে শিক্ষার্থীর চেয়ে অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল বেশি।
জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি বই উৎসবের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হতো। কিন্তু করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে প্রায় এক দশক ধরে চলে আসা এই নিয়মের।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা ভেবে এবারও সমাবেশ করে কোনও বই উৎসব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তারা জানান, একইদিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই না দিয়ে ভাগ করে কয়েকদিন ধরে বিতরণ করা হবে। একেকটি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা তিনদিন ভাগ করে এসে বই নিয়ে যাবে। ক্লাস অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরি বলেন, বই উৎসব হচ্ছে না, বই বিতরণ হচ্ছে। প্রত্যেক স্কুল স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের মতো করে বই বিতরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার (১ জানুয়ারি) পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির বই বিতরণ করা হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা সবাই সময়মতো হাতে বই পেয়ে যাবে।