বাগেরহাটের মোংলায় এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মোংলা থানা পুলিশ। বুধবার (৫ জুন) সকালে মোংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে বুধবার সকালে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতজনকে আসামি মামলা করেন ভুক্তভোগীর বোন। ভুক্তভোগী ও তার বোন মোংলা পৌর শহরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে মো. সুমন (২৯), বাশার মোছাল্লীর ছেলে মিজানুর মোছাল্লী (২৮), মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. জামাল (৪৫), মো. লুৎফরের ছেলে মো. আওয়াল (৩৫) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে ১০ থেকে ১২ দিন আগে সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির ও রানা শেখের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এরপর গত সোমবার ওই তরুণীর সঙ্গে মোংলা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করে তারা। পরে তাকে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে তুলে সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাঁশতলা গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে নিয়ে চোখ ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এতে ওই তরুণী অচেতন হয়ে পড়লে রাত ৩টায় পার্শ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রিজের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় এক মোটরসাইকেল চালক তাকে উদ্ধার করেন।
মোংলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।